স্বচ্ছল পরিবারে জন্ম হবার ফলে , প্রাচুর্য সম্পদ শালী ঠাকুর বাড়ি এর সন্তান হিসাবে এলাকাতে আমাদের পরিবারের স্নমান ছিল । বাড়ির জমি জায়গা ,গ্রু বলদ দেখার কয়েক চাকর বাকর ছিল । সামসির ডাউয়াতে আমার ঠাকুর মা তার বাপের বাড়ির থেকে অনেক জমি ও সম্পত্তি পেয়েছিলেন । কারন উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া একমাত্র আমার ঠাকুর মা এই সম্পত্তি মালিক হয়ে ছিলেন । মা, বাবা, পিসিমা কাছে শুনেছি ।আমার ঠাকুর মা এর মা মারা যাবার পর সেখান থেকে ১৫ টি গরু গাড়ি করে সিন্ধুক এসেছিল যাতে ভর্তি ছিল রুপা, পেতল, কাঁসার বাসন ও অলঙ্কার । বছরের শেষে চাষিরা গাড়ি বোঝাই করে আসত নানা ধরনের ফসল নিয়ে । বাবা তখন নুরপুরে খাঁ দের জমিদারি প্রিচালনা করছেন । বাবা তখন ঠিক ক্রেন আমার বড় পিসে মশাই জমিদার কালি ঠাকুর যিনি ছিলেন রুকুন্দিপুরের অত্যাচারী জমিদার তার কাছে থেকে দূরে গিয়ে বসবাস করতে । তাই তিনি বেছে নিলেন জাননগর গ্রামকে । ভালুওরা মৌজাতে ২০ বিঘার মত আমবাগান ও চাষের জমি । জান নগর এ বাড়ি ক্রলেন ৫ বিঘা জমির উপ্র ঠিক মধুবনি স্টাইল এ খামার বাড়ি । ইতিমধ্যে কাকা বিহার পুলিশে যোগ দিয়েছেন , ছোট পিসির বিয়ে হয়ে গিয়েছে নাজিরপুরে । সুখে ছিল সুপ্ন ঠাকুরের পরিবার । দুঃখ তার কোন স্নতান ছিল না । এদিকে মা আমার জন্যে মন্দিরে মন্দিরে হত্যে দিচ্ছে সন্তান কামনায় । এই মন্দিরে তিনি কামনা করেছেন একমাত্র সন্তান । সন্তান না হবার জন্যে অনেকে বাবাকে অ পুত্রক বলত ।ভগবান তাদের প্রাথনা শুনেছিল । তাদের কোলে আমার জন্ম হল । আনন্দ ভরে উঠল ঠাকুর বাড়ি । কাশী থেকে পণ্ডিত এলেন , নাম করন সহ মহা ম্রেতুঞ্জয় যজ্ঞ হল সন্তানের সুদীর্ঘ জীবন কামনায় । আমি সেই সন্তান । তার আমার দেখা ঠাকুর বাড়ি । {২}
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন