রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৫

আমার জীবন ও সং গ্রাম

আমার ঠাকুর মা স্রস্বাতি দেবী খুব জাঁদরেল মহিলা ছিলেন । মা এর কাছে শুনেছি শীত কালে যখন দাওউয়া থেকে যখন বাজরা ইত্যাদি ফস্ল গরুকে খাইয়ে দিতেন অথবা সেই ফস্ল পুড়িয়ে শীতকালে আগুণ প হাতেন ।
তিনি মায়ের প্রতি ভাল ব্যবহার করতেন না ।
আমার মামা বাড়ি বিহারের কটি হারের বুধ্নগরে । আমার দাদু খুব বিখ্যাত তান্ত্রিক ছিলেন ,তার কাছে বহু দূর থেকে মানুষ আসত । তান্ত্রিক শ্রী মোহন ঝা কটি হার এলাকাতে খুব প্রিচিত ব্যক্তি তার বহু চেলা ছিল ।তাকে ঘিরে থাকত তার চেলারা । তিনি নাকি সাপে কাঁটা মানুষ ভাল করতেন । আমার বড় ভাগবত পাঠ করে বেড়াতেন । এরা ছিল গোঁড়া মৈথিল পরিবার ।
অন্য দিকে আমার মা  আমার সন্তান কামনায় অপুত্রের ধন বাড়িতে থাকায় তাকে নষ্ট করার উঠে পড়ে লেগেছিল । করেছিল তাই , বাবার অনুপ্সথিতির সুযোগ নিয়ে সেই যক্ষের ধন নষ্ট করেছিল ।
আমার কাকা স্থায়ী ভাবে পুরনিয়া তে বসবাস করতে লাগলেন সেখানে এক পূর্ব বাংলা পরিবারে বিবাহ করেন ।আর তিনি চাকরী তে থাকাকালীন আর মালদহে ফিরে আসেন নি ।
এদিকে দেশ স্বাধীন হল , কং গ্রেস জমিদারী উচ্ছেদ এর আইন করল ।বাবা জমিদারী চলে যাবার পর কর্ম হীন হলেন ।
এবার শুরু হ্ল ন্তুন ভাবে বেচে থাকার লড়াই । {৩}

শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৫

আমার জীবন ও সংগ্রাম

স্বচ্ছল পরিবারে জন্ম হবার ফলে , প্রাচুর্য সম্পদ শালী ঠাকুর বাড়ি এর সন্তান হিসাবে এলাকাতে আমাদের পরিবারের স্নমান ছিল । বাড়ির জমি জায়গা ,গ্রু বলদ দেখার কয়েক চাকর বাকর ছিল । সামসির ডাউয়াতে আমার ঠাকুর মা তার বাপের বাড়ির থেকে অনেক জমি ও সম্পত্তি পেয়েছিলেন । কারন উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া একমাত্র আমার ঠাকুর মা এই সম্পত্তি মালিক হয়ে ছিলেন । মা, বাবা, পিসিমা কাছে শুনেছি ।আমার ঠাকুর মা এর মা মারা যাবার পর সেখান থেকে ১৫ টি গরু গাড়ি করে সিন্ধুক এসেছিল যাতে ভর্তি ছিল রুপা, পেতল, কাঁসার বাসন ও অলঙ্কার । বছরের শেষে চাষিরা গাড়ি বোঝাই করে আসত নানা ধরনের ফসল নিয়ে । বাবা তখন নুরপুরে খাঁ দের জমিদারি প্রিচালনা করছেন । বাবা তখন ঠিক ক্রেন আমার বড় পিসে মশাই জমিদার কালি ঠাকুর যিনি ছিলেন রুকুন্দিপুরের অত্যাচারী জমিদার তার কাছে থেকে দূরে গিয়ে বসবাস করতে । তাই তিনি বেছে নিলেন জাননগর গ্রামকে । ভালুওরা মৌজাতে ২০ বিঘার মত আমবাগান ও চাষের জমি । জান নগর এ বাড়ি ক্রলেন ৫ বিঘা জমির উপ্র ঠিক মধুবনি স্টাইল এ খামার বাড়ি । ইতিমধ্যে কাকা বিহার পুলিশে যোগ দিয়েছেন , ছোট পিসির বিয়ে হয়ে গিয়েছে নাজিরপুরে । সুখে ছিল সুপ্ন ঠাকুরের পরিবার । দুঃখ তার কোন স্নতান ছিল না । এদিকে মা আমার জন্যে মন্দিরে মন্দিরে হত্যে দিচ্ছে সন্তান কামনায় । এই মন্দিরে তিনি কামনা করেছেন একমাত্র সন্তান । সন্তান না হবার জন্যে অনেকে বাবাকে অ পুত্রক বলত ।ভগবান তাদের প্রাথনা শুনেছিল । তাদের কোলে আমার জন্ম হল । আনন্দ ভরে উঠল ঠাকুর বাড়ি । কাশী থেকে পণ্ডিত এলেন , নাম করন সহ মহা ম্রেতুঞ্জয় যজ্ঞ হল সন্তানের সুদীর্ঘ জীবন কামনায় । আমি সেই সন্তান । তার আমার দেখা ঠাকুর বাড়ি । {২}

শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫

আমার জীবন ও সংগ্রাম

আমার জীবন নিয়ে লিখতে গিয়ে যে কথা লিখতে হয় তা হল আমার ছোটবেলার কথা । রক্ষণশীল মৈথিল পরিবারে । আমার ঠাকুর দা ভজগবিন্দ ঝা তৎকালীন সমাজে খুব বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন । তার সঙ্গীত এলাকাতে খুব জনপ্রিয় ছিল । নুরপুরের জমিদার দের তশিলদার ছিলেন । সেই সূত্রে রতুয়ার জমিদার চৌধুরী দের সাথে তাদের নুরপুরের জমিদারের সাথে চৌধুরীদের বিরোধ এর কারনে আমার ও আমার বড় পিসে মশাই কালি শঙ্কর মিশ্র চক্রান্তে ঠাকুর দা বড় বিপর্যয় এ পড়েন । মিথ্যা মামলাতে জড়িয়ে তাকে তার ভোলে পনের তার ৮০ টি গরু ও ১০০ বিঘা জমি ক্রোক করে । এই ঘটনায় আমার ঠাকুরদা মানসিক ভার সাম্য হারিয়ে ফেলেন । ছোট ভাই, দুই বোন মা, বাবাকে নিয়ে সংসারের হাল ধরেন । নুরপুরের জমিদারী প্রিচালনা করা সাথে সাথে বোনের বিয়ে , ছোট ভাইকে মানুষ করা এবং পরিবার পরিচালনা করা মত গুরু দায়িত্ব পালন করার কাজ বড় ছেলে সুরেন্দ্রনাথের উপর পড়ে । তিনি যথার্থ ভাবে পালন করেন । ইতিমধ্যে ছোট ভাই দয়া নাথ বাড়ি ছেড়ে বিহারে গিয়ে বিহার পুলিশে যোগ দেন ।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দলনের প্রতি সুরেন্দ্রানাথের পুরপুরি স্মথন ছিল । তিনি রতুয়ার দুরগাম্নদিরে রতুয়ার ডোম সমাজের দেওয়া পাঁঠা বলি দিয়ে সেখান কার গণ্য মান্য চোখের বিষ হয়ে ছিলেন । তিনি কারও কাছে মাথা নত না করে এর পক্ষে তিনি দাঁড়ান । সেদিন রতুয়ার বুকে জয় জয় পড়ে গিয়েছিল ।
আমি সেই পিতার সন্তান যে ভারতের স্বাধীনতা  সংগ্রামে অংশ নিয়েছে , সাথে সাথে সমাজের অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ । সেই বাবার কাছ থেকে আমি কংগ্রেস বিরোধিতা পেয়েছি কারন আমার বাবা নেতাজী এর প্রতি কংগ্রেস দলের ভুমিকা কোন দিন মেনে নিতে পারেনি । দেশ বিভাগ কে মেনে নিতে পারেনি । গোটা জীবন  কংগ্রেস এর বিরোধিতা করেছেন । রাজ্যের প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন তে তিনি নির্বাচিত হয়ে ছিলেন । তখন তাকে সঙ্গে পেতে রতুয়ার জনগণ দুই হাত তুলে তাকে আশীর্বাদ করে ছিলেন । {১}